১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ঝিনাইদহে ধর্ষণ ও সমকামিতায় বাধা দেওয়ায় ৫ দিনের ব্যবধানে ইয়াদ মোল্লা (৪৫) নামে এক ব্যক্তির হাতে মধ্য বয়সী এক নারীসহ ৩ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। তিনটি হত্যার ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ইয়াদ মোল্লা। আজ শনিবার দুপুরে পুলিশের কাছ থেকে এসব হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত ঘটনা জানা গেছে। গ্রেফতার ইয়াদ মোল্লা নড়াইল জেলার বিল ডুমুরতলা গ্রামের মৃত চাঁন মোল্লার ছেলে
পুলিশ জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন ইয়াদ মোল্লা। রাতে এসব এলাকার স্কুল ও নির্জন জায়গা বেছে নিতেন ঘুমানোর জন্য।
প্রায় ১৫ দিন ধরে জেলা সদরের লাউদিয়া এলাকায় রাত্রিযাপন করছিলেন ইয়াদ মোল্লা। এরই একপর্যায়ে লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রাত্রিযাপন শুরু করেন সালাউদ্দিন নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি
এসময় সালাউদ্দিনকে সমকামিতায় লিপ্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা করেন ইয়াদ। তবে অনেক চেষ্টা করেও তাকে সমকামিতায় রাজি করাতে পারেননি। রাতে ঘুমানোর একপর্যায়ে দেখেন তার কম্বল জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছেন সালাউদ্দিন। তাকে এ অবস্থায় দেখে পার্শ্ববর্তী মাঠে থাকা একটি মেহগনি ডাল নিয়ে এসে ঘুমন্ত অবস্থায় সালাউদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করেন ইয়াদ মোল্লা।
পরে তার মরদেহ স্কুলের সিঁড়ির নিচে রেখে তেঁতুলতলা এলাকায় থাকা শুরু করে সে।
পুলিশ আরও জানায়, সেখানেও সমকামিতা ও রাতে স্কুলের বারান্দায় থাকতে বাধা দেওয়া নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে ইলিয়াস পাটোয়ারী নামের একজনকে নলকূপের হাতল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ইয়াদ মোল্লা। সে সময় তিনি স্থান পরিবর্তন করে সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নে থাকা শুরু করে।
গত বৃহস্পতিবার পোড়াহাটি কসাইপাড়া গ্রামে বিবি জান (৫০) নামের এক নারী ছাগলে জন্য পাতা কাটার জন্য বাড়ি থেকে মেহগনি বাগানে যান। ওই সময় ইয়াদ মোল্লা বিবিজানকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
সেই সাথে ওই নারীর দুই হাত ও দুই চোখও উপড়িয়ে ফেলে। সে সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ইয়াদকে ধরে র্যাব-৬ এর কাছে হস্তান্তর করে।