বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম,,,BD NEWS

 


18.2.2022

রাজধানীর বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫ টাকা। রসুনের দাম ১০-৩০ টাকা। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা।

আজ শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা।

এদিকে, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৭৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে যার দাম ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা। সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৯০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যার দাম ছিল ২৫০-২৮০ টাকা। একই সঙ্গে দাম বেড়েছে শাকসবজির বাজারেও। ব্যবসায়ীরা ছোট ফুলকপির পিস বিক্রি করছেন ৩৫-৪০ টাকায়, বড় ফুলকপি ৫০-৬০ টাকায়। টমেটো কেজিতে ৪০-৫০ টাকা, পুঁইশাকের ফল ৬০-৮০ টাকা, শাল গম (ওল কপি) ৩০-৪০ টাকা, লাউ (প্রতি পিস) ৫০-৬০ টাকা, লালশাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা এবং পালংশাকের আঁটি ১৫-২০ টাকা।

শান্তিনগর বাজারে এক ক্রেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে আমাদের মধ্যবিত্তদের জীবনে নাভিশ্বাস নেমে এসেছে। কেননা আমাদের ব্যয় বাড়লেও আয় বাড়েনি।

একই কথা বললেন মালিবাগ রেলগেটে বাজার করতে আসা ক্রেতা স্বস্তিকা। তিনি বলেন, বাজার করতে গিয়ে সঞ্চয় করার পথ হারিয়ে ফেলছি। রমজানকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা এভাবেই মধ্যবিত্তদের কষ্ট দিচ্ছে।

তবে শাকসবজির দাম বাড়লেও কমেছে বেগুন ও গাজরের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম ৫০-৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। গাজর ২০-৩০ টাকা, গত সপ্তাহে যা ছিল ৩০-৪০ টাকা।

এদিকে, রুই-কাতলা মাছ ২৮০-৪৫০ টাকা, শিং ও টাকি ২৫০-৩৫০ টাকা, শোল মাছ ৪৫০-৬০০ টাকা এবং তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস ১৫০-১৭০ টাকা। আজ বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১০০০-১২০০ টাকায়। ছোট ইলিশ ৫০০-৬০০ টাকা এবং চিংড়ি ৬০০-৬৫০ টাকা।

কারওয়ান বাজারে আসা ক্রেতা সতীর্থ কর্মকার বলেন, পেঁয়াজ-রসুনসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্তদের জীবনে নেমে এসেছে হতাশা। আয় বাড়ছে কেবল তাদের (বিক্রেতাদের), আমাদের আয় কোথায় বাড়ছে? উল্টো ব্যয় বাড়ছে।

বেড়েছে রসুনসহ আরও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম

সকালে চায়না রসুনের দাম কেজিতে ১২০ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা ও লেবুর হালি ৫০ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ১৬৮ টাকা, মসুরের ডাল ৯০-১২০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ৮৫ টাকা ও আটা ৩৫ টাকা। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মধ্যেও আদার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চায়নার আদার দাম কমে হয়েছে ১০০ টাকা।

ডিমের দামেও নেই স্থিতাবস্থা। লাল ডিম ডজনে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৯৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ২১০ টাকা এবং সোনালি মুরগির (কক) দাম ১৮০ টাকা।

BD NEWS 
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post