চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা চালু হচ্ছে বিমান যোগাযোগ,,,BD NEWS

 



20.2.2022

চট্টগ্রাম-ত্রিপুরা চালু হচ্ছে বিমান যোগাযোগ


এবার আকাশপথে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হবে ত্রিপুরা। অসম ও মণিপুরের পরে এবার ত্রিপুরাও আন্তর্জাতিক বিমানের সুবিধা পাবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ করতে পারবে ত্রিপুরা।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব টুইট করে জানিয়েছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে আগরতলার যোগাযোগ শেষ পর্যন্ত হচ্ছে। ত্রিপুরার মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রীকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

প্রায় ৩০ হাজার বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে আগরতলার নয়া টার্মিনাল। খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। গোটা উত্তরপূর্ব ভারতে বিমান যোগাযোগের উন্নতির জন্য ৩৪০০ কোটির প্রকল্প ধার্য্য করা হয়েছে।

তার মধ্যে আগরতলাও অন্যতম। এবার আকাশ পথের স্কিমের আওতায় এই নতুন বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। তবে আন্তর্জাতিক উড়ানের আরও প্রস্তাব রয়েছে। যেমন গুয়াহাটি ব্যাংকক, গুয়াহাটি ঢাকা, গুয়াহাটি-কাঠমাণ্ডু, গুয়াহাটি হ্যানয়, ভুবনেশ্বর ব্যাংকক, ভুবনেশ্বর-আবুধাবি, ভুবনেশ্বর সিঙ্গাপুরসহ একাধিক আন্তর্জাতিক রুট খোলার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবিত এই বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে ত্রিপুরার পর্যটন ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটা নতুন মাত্রা যোগ করবে।

এতে বাংলাদেশের বাসিন্দাদেরও উপকার হবে। দুদেশের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। টুইট করে লিখেছেন বিপ্লব দেব। খবর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার।।।।।।।

বঙ্গবন্ধুর মেমোরিয়াল পার্ক : তুরস্কে এক টুকরো বাংলাদেশ


পার্কটিতে ঢুকতে গেলে প্রথমেই চোখে পড়বে বাংলাদেশের লাল-সবুজ ও তুরস্কের লাল-সাদা রঙের জাতীয় পতাকা পাশাপাশি উড়ছে। তার নিচে কালো পাথরে সবুজ কালিতে লেখা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত নামফলক।

তাতে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনী ইংরেজি ও স্থানীয় তুর্কি ভাষায় লেখা। নরম মখমলের মতো সবুজ মাঠ। তার মধ্যে হরেক রকম ফুলের গাছ।
কিছু দূর পরপর ছোট্ট ছোট্ট ছাউনির নিচে বসার জন্য বেঞ্চ পাতা। সেখানে বসে আপন মনে গল্প করছেন কেউ। মাঠের মাঝখানে প্লে-গ্রাউন্ডে ফুলবল খেলছে কিশোর ছেলেরা। বাম দিকের কোনায় শিশু কর্নারে টাট্টু ঘোড়ায় দোল খাচ্ছে ছোট্ট শিশুর দল। এ যেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এক টুকরো স্বপ্নের বাস্তব রূপকথা। দেখে যে কারো মনে হবে, এ যেন এক টুকরো ছোট্ট এক বাংলাদেশ।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে করা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্কটি ঘুরে এমন দৃশ্যগুলোই চোখে পড়ে। তুরস্কের রাজধানীর কাচোরায় অবস্থিত এই পার্কের আয়তন ৩৩ হাজার বর্গমিটার। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নির্মাণ করা হয় এই পার্কটি। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর পার্কটি উদ্বোধন করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের প্রচেষ্টায় পার্কটি নির্মাণ করে তুরস্ক।

পার্কের ভেতরে তিনটি আলাদা খেলার মাঠসহ পুরো প্রাঙ্গণটি কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি মাঠকে প্যাঁচানো তারের বিশেষ বন্ধনী দিয়ে ফেন্সিং করে দেয়া হয়েছে। তাতে ফুটবল মাঠ, বাস্কেটবল মাঠ, ব্যাডমিন্টন মাঠ, ব্যায়ামাগার, শিশু কর্নার ও ওয়াকওয়েসহ সব ধরনের খেলার ব্যবস্থা রয়েছে।

রাতে খেলার জন্য পার্কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এক পাশে ব্যায়ামাগার অন্য পাশে সাইকেল লেন। পার্কটিকে সবুজায়ন করতে লাগানো হয়েছে নতুন করে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও বিশ্বাসকে প্রাধান্য নিয়ে পার্কটি নির্মাণ করা হয় বলে জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মসয়ূদ মান্নান। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ভালোবাসতেন। নজরুল মসজিদ ও আজানকে ভালোবাসতেন। তিনি বলেছিলেন মসজিদের পাশে যেন তার কবর দেয়া হয়। দুজনের বিশ্বাস ছিল একই। শিশুরা যখন পার্কে এসে খেলে তখন বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পায়।

তিনি বলেন, পার্কটি নির্মাণের অর্থ হলো এতে শিশু-কিশোররা খেলবে, দৌড়াবে ও আনন্দ করবে। বঙ্গবন্ধুও শিশুদের ভালোবাসতেন। তাদের খেলাধুলা পছন্দ করতেন। আর পার্কের পাশেই একটি বড় মসজিদ রয়েছে। পার্কে বসে মসজিদের মিনার থেকে আজান শোনা যায়। সুতরাং পুরো পার্কটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের মতো করে সাজানো হয়েছে।

শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্কটি সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কনকনে শীতের মধ্যেও মাঠে খেলাধুলা করছে শিশুরা। ওয়াকওয়েগুলো বৃদ্ধদের পদচারণায় মুখর। কেউ কেউ পার্কের বেঞ্চে বসে সময়ও কাটাচ্ছেন।

পার্কে ফুটবল খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্থানীয় একদল শিশু-কিশোর। এ সময় তাদের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। জানতে চাইলে শাফি নামের ওই কিশোর বলেন, আগে এখানে কোনো পার্ক ছিল না। আমরা বাসায় থেকে থেকে ক্লান্ত হয়ে যেতাম। এখন প্রতিদিন বিকালে এখানে খেলতে আসি। এখানে এসে বাংলাদেশি বেশ কিছু বন্ধু পেয়েছি।

আবু দাউদ নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসী পার্কে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন। তিনি বলেন, অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নির্মাণ করা হয়েছে বলে বাঙালিরাই এখানে বেশি আসে। ছুটির দিন তো পার্কটি বাঙালি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

এর মাধ্যমে অনেকেই একজন স্বাধীনতাকামী মহান নেতার আত্মজীবনী পড়তে পারছে এমনকি মুজিব কে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তিনি কত বড় মাপের নায়ক ছিলেন সে সম্পর্কেও এখানকার স্থানীয়রাও এখন অনেক কিছু জানেন। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় শিশুদের পদচারণায় পার্কটি মুখরিত হয়ে ওঠে বলেও জানান তিনি।

পার্কে খেলতে এসেছেন বাংলাদেশি প্রবাসী নাসিরুদ্দিন। ছোট্ট শিশুকে নিয়ে আসা এই প্রবাসী পার্কের প্রতিটি এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখে বলেন, মনে হচ্ছে যেন বাংলাদেশে অবস্থান করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী পড়েও অনুপ্রাণিত হচ্ছি। শিশুরা খেলাধুলা করছে দেখে খুব আনন্দ লাগছে। অবসর সময়ে বাংলাদেশিরা প্রায়ই এ পার্কে ঘুরতে আসে।

পার্কটির বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। আজ তুরস্কের মতো জায়গায় জাতির জনকের নামে পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। তার আদর্শকে আমরা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা দুই দেশ এবং দুই সিটি করপোরেশন একত্রে কাজ করব।
তিনি জানান, ঢাকার বনানী এলাকায় তুরস্কের জাতির জনকের নামে কামাল আতাতুর্ক সরণি রয়েছে। কিন্তু তুরস্কে আমাদের জনকের তেমন কিছু ছিল না। সেখানে আমরা তার একটি আবক্ষ ভাস্কর্য ও তার নামে একটি সড়কের নামকরণের পাশাপাশি এই পার্কটি নির্মাণের জন্য অনুরোধ করি। পরে পার্কটি নির্মাণ করে দেয়া হয়। আমরাও বনানী সড়ক সংলগ্ন পার্কটি কামাল আতাতুর্কের নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা তুরস্ককে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা যখন সময় দেবে তখন সেটিও উদ্বোধন করা হবে।

BD NEWS 
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post