22.2.2022
চৌগাছায় সন্ত্রাসী হামলায় ইউপি সদস্য নিহত, আহত ৬
যশোরের চৌগাছায় সন্ত্রাসী হামলায় এক ইউপি সদস্য নিহতসহ ছয় জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতের ছেলে টিংকু। নিহত ঠাণ্ডু বিশ্বাস (৫০) পাতিবিলা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য।
আহতরা হলেন একই গ্রামের নিরঞ্জন কুমার ঘোষের ছেলে অসীম কুমার ঘোষ (৩২), মৃত গোলাম রাব্বানির ছেলে সিদ্দিক (৫০), আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল হামিদ (৪৫), রুহুল আমিনের ছেলে টিটো (৩২), আব্দুল জলিলের ছেলে মকবুল (৩৫) এবং আব্দুল কাদেরের ছেলে মমিন(৪৫)।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে নিহত ঠাণ্ডু বিশ্বাসের ছেলে টিংকু বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে রুহুল আমিনকে হারিয়ে আমার বাবা জয় লাভ করেন। সেদিন থেকেই তারা আমার বাবার উপর প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পাতিবিলা বাজারে একটি চায়ের দোকানে আমার বাবা, মমিন চাচারা চা খাচ্ছিল। এসময় সেই রুহুল আমিনের ছেলে টিটোসহ ফারুক সেলিমসহ আরও অনেকে আমার বাবার ওপর হামলা করে। টিটো আমার বাবাকে ছুরিকাঘাত করে।
পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানেই আমার বাবার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার মূল অভিযুক্ত টিটো আগে থেকেই সন্ত্রাসী প্রকৃতির। আজকেও সেই টিটোসহ ফারুক, রওশনরা ঠাণ্ডু বিশ্বাসসহ অন্যান্যদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় আহত সিদ্দিক জানান, শনিবার বিকেল চারটার দিকে দোকান ভাড়া দেয়া নিয়ে টিটোর সঙ্গে বাবুর কথা কাটাকাটি হয়।
দোকানটি বাবু টিটোর কাছে ভাড়া দিয়েছিলেন। পরে ঠাণ্ডু বিশ্বাস সেই বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেন। তারই রেশ ধরে আজকের (সোমবার) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পরে আমি আর ঠাণ্ডু বিশ্বাস নেছারের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। সেসময় পেছন থেকে এসে টিটো, সেলিম আর রুলু প্রথম আক্রমণ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, কেবল একটি ঘটনা নয়।
এর পেছনে আরও কয়েকটি ঘটনা থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। সঠিক তদন্ত ছাড়া প্রকৃত কারণ বলা এখনই সম্ভব নয়। এ ঘটনায় দুই-তিনজন পথচারীও হামলার শিকার হয়েছেন। প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত হামলায় জড়িত রুহুল আমিন রুলু, কবির ও রওশনকে গ্রেপ্তার করেছে চৌগাছা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ নিশ্চিত করেছেন।।।।।
রামগড়ে মাকে হত্যা, ছেলে আটক
খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার চৌধুরীপাড়া শ্বশানের পাশে পারিবারিক কলহের জের ধরে মায়ের কপাল আছড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে রামগড় থানা পুলিশ।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় নিহতের বড় ছেলে মো. ইব্রাহিম (২৯) তার মা রহিমা বেগমের (৫৯) চুলের খোপা ধরে মাটিতে কপাল আছড়িয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলে রহিমা বেগমের মৃত্যু হয়। ঘাতক ইব্রাহিম চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুল জলিলের বড় ছেলে।
নিহতের মেজ ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, তার বড় ভাই ইব্রাহিম প্রায় সময় মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করতো। শনিবার রাত ৯টায় বাহির থেকে বাড়িতে এসে পুনরায় ঝগড়া করে।
এসময় মা টয়লেট থেকে ঘরে ঢুকতে গেলে মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে কপালে ও মুখে আঘাত করে হত্যা করে। এসময় বাড়িতে মা ও বড় ভাই ছাড়া কেউ ছিল না। তিনি তার মাকে হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ইব্রাহিম তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
ওসি আরও জানান, ইব্রাহিম তার মাকে হত্যা করে প্রতিবেশীদের ডেকে বলে তার মা মাথা ঘুরে পড়ে গেছে। পরে ঘরের লাইট অফ করে শুয়ে থাকলে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।।।।।
মাধবপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিাযোগে প্রেমিকার মায়ের দায়ের করা মামলায় প্রেমিক আলমগীর মিয়াকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বাবা উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের আরিছপুর গ্রামের আব্দুল হাই মিয়া।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলমগীর উত্তর সমজদীপুর গ্রামে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কেউ জানতে পারেনি।
এ ঘটনায় প্রেমিকার মা বাদী হয়ে আলমগীরকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ মামলায় পুলিশ আলমগীরকে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
মাধবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল চৌধুরী জানান, ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আলমগীরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
BD NEWS
যশোরের চৌগাছায় সন্ত্রাসী হামলায় এক ইউপি সদস্য নিহতসহ ছয় জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতের ছেলে টিংকু। নিহত ঠাণ্ডু বিশ্বাস (৫০) পাতিবিলা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য।
আহতরা হলেন একই গ্রামের নিরঞ্জন কুমার ঘোষের ছেলে অসীম কুমার ঘোষ (৩২), মৃত গোলাম রাব্বানির ছেলে সিদ্দিক (৫০), আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল হামিদ (৪৫), রুহুল আমিনের ছেলে টিটো (৩২), আব্দুল জলিলের ছেলে মকবুল (৩৫) এবং আব্দুল কাদেরের ছেলে মমিন(৪৫)।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে নিহত ঠাণ্ডু বিশ্বাসের ছেলে টিংকু বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে রুহুল আমিনকে হারিয়ে আমার বাবা জয় লাভ করেন। সেদিন থেকেই তারা আমার বাবার উপর প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পাতিবিলা বাজারে একটি চায়ের দোকানে আমার বাবা, মমিন চাচারা চা খাচ্ছিল। এসময় সেই রুহুল আমিনের ছেলে টিটোসহ ফারুক সেলিমসহ আরও অনেকে আমার বাবার ওপর হামলা করে। টিটো আমার বাবাকে ছুরিকাঘাত করে।
পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানেই আমার বাবার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার মূল অভিযুক্ত টিটো আগে থেকেই সন্ত্রাসী প্রকৃতির। আজকেও সেই টিটোসহ ফারুক, রওশনরা ঠাণ্ডু বিশ্বাসসহ অন্যান্যদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় আহত সিদ্দিক জানান, শনিবার বিকেল চারটার দিকে দোকান ভাড়া দেয়া নিয়ে টিটোর সঙ্গে বাবুর কথা কাটাকাটি হয়।
দোকানটি বাবু টিটোর কাছে ভাড়া দিয়েছিলেন। পরে ঠাণ্ডু বিশ্বাস সেই বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেন। তারই রেশ ধরে আজকের (সোমবার) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পরে আমি আর ঠাণ্ডু বিশ্বাস নেছারের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। সেসময় পেছন থেকে এসে টিটো, সেলিম আর রুলু প্রথম আক্রমণ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, কেবল একটি ঘটনা নয়।
এর পেছনে আরও কয়েকটি ঘটনা থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। সঠিক তদন্ত ছাড়া প্রকৃত কারণ বলা এখনই সম্ভব নয়। এ ঘটনায় দুই-তিনজন পথচারীও হামলার শিকার হয়েছেন। প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত হামলায় জড়িত রুহুল আমিন রুলু, কবির ও রওশনকে গ্রেপ্তার করেছে চৌগাছা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ নিশ্চিত করেছেন।।।।।
রামগড়ে মাকে হত্যা, ছেলে আটক
খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার চৌধুরীপাড়া শ্বশানের পাশে পারিবারিক কলহের জের ধরে মায়ের কপাল আছড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে রামগড় থানা পুলিশ।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় নিহতের বড় ছেলে মো. ইব্রাহিম (২৯) তার মা রহিমা বেগমের (৫৯) চুলের খোপা ধরে মাটিতে কপাল আছড়িয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলে রহিমা বেগমের মৃত্যু হয়। ঘাতক ইব্রাহিম চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুল জলিলের বড় ছেলে।
নিহতের মেজ ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, তার বড় ভাই ইব্রাহিম প্রায় সময় মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করতো। শনিবার রাত ৯টায় বাহির থেকে বাড়িতে এসে পুনরায় ঝগড়া করে।
এসময় মা টয়লেট থেকে ঘরে ঢুকতে গেলে মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে কপালে ও মুখে আঘাত করে হত্যা করে। এসময় বাড়িতে মা ও বড় ভাই ছাড়া কেউ ছিল না। তিনি তার মাকে হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ইব্রাহিম তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
ওসি আরও জানান, ইব্রাহিম তার মাকে হত্যা করে প্রতিবেশীদের ডেকে বলে তার মা মাথা ঘুরে পড়ে গেছে। পরে ঘরের লাইট অফ করে শুয়ে থাকলে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।।।।।
মাধবপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিাযোগে প্রেমিকার মায়ের দায়ের করা মামলায় প্রেমিক আলমগীর মিয়াকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বাবা উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের আরিছপুর গ্রামের আব্দুল হাই মিয়া।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলমগীর উত্তর সমজদীপুর গ্রামে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কেউ জানতে পারেনি।
এ ঘটনায় প্রেমিকার মা বাদী হয়ে আলমগীরকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ মামলায় পুলিশ আলমগীরকে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
মাধবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল চৌধুরী জানান, ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আলমগীরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
BD NEWS